Thursday 28 February 2019

অফ পেইজ অপটিমাইজেশন – Off Page SEO

Rhb Riyad

অফ পেইজ অপটিমাইজেশনঃ অফ পেইজ অপটিমাইজেশন  এর  কাজ গুলো কোন সাইট এর  রেপুটেশন বাড়ানোর জন্যে  করা হয়। এই কাজের  জন্যে  বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার  করা হয় ।অফ পেইজ অপটিমাইজেশন এর  সকল কাজ সব সময় সকল ভাবে  ইফেক্টিভ  হয় না। আবার  গুগল কিছু দিন পর  পর  তাদের  এলগরিদম পরিবর্তন করে কাজের  পদ্ধতির  অনেক পরিবর্তন করে ফেলে। আসুন জেনে  নেই অফ পেইজ অপটিমাইজেশন  এর  মধ্যে  কি কি কাজ থাকেঃ


অফ পেইজ অপটিমাইজেশন কাজের  প্রকারভেদঃ এসইও এর  কাজের  ৭৫% কাজ অফ-সাইট অপটিমাইজেশন এ  করতে  হয়। অফ-সাইট অপটিমাইজেশন এর  মাধ্যমে  আমরা  কোন সাইট এর পেজ রেঙ্ক আপ, ভিজিটর  বাড়ানো থেকে  আরো অনেক অনেক কাজ। এই জন্যে  আমাদের  যে  সকল কাজ করতে  হয় তা  হলঃ
১ঃ  ডিরেক্টরি সাবমিশন ;
২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করা ;
৩ঃ ভিডিও মার্কেটিং ;
৪ঃ ফোরাম পোষ্টিং ;
৫ঃ ডকুমেন্টস শেয়ারিং ;
৬ঃ আর.এস.এস. ফিড সাবমিশন ;
৭ঃ প্রেস রিলিস সাবমিশন ;
৮ঃ গেষ্ট পোষ্টিং ;
৯ঃ আর্টিকেল সাবমিশন ;
১০ঃ ব্লগে কমেন্টস করা ;
এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে  যা  আমরা পরবর্তিতে  কাজের  প্রয়োজনে  শেয়ার  করব।

১ঃডিরেক্টরি সাবমিশনঃ 
অনেকেই বলে এখন আর ডিরেক্টরি সাবমিশন থেকে এখন আর হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে ডিরেক্টরি সাবমিশন করতে পারেন তাহলে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পাওয়া সম্ভব। ডিরেক্টরি সাবমিশন করার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে ডিরেক্টরি যাতে হাই পেজ র‍্যাঙ্ক, এলেক্সা র‍্যাঙ্ক, ডোমেইন অথরিটি এবং পেজ অথরিটি এর হয়।
২ঃ সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করাঃ 
সোশ্যাল মিডিয়ে সাইটে লিঙ্ক শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার সাইট/ব্লগে অনেক রেফারাল ভিজিটর পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং যে শধু মাত্র রেফারেল ভিজিটর এর জন্য তা কিন্তু নয়, এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট/ব্লগের র‍্যাঙ্কিং এ ও অনেক সাহায্যে করবে। এছাড়া অনেক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক ও পাবেন। আমরা  সোশ্যাল মিডিয়া  বলতে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন কে বুঝি কিন্তু এই গুলো ছাড়াও অনেক অনেক সোশ্যাল মিডিয়া  সাইট আছে। যেই গুলো থেকে আমরা  অনায়াসে  ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করে  ফেলতে  পারি।
৩ঃ ভিডিও মার্কেটিংঃ
হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য ভিডিও মার্কেটিং এখনকার সময়ের জনপ্রিয় আরেকটি উপায়। আপনার ব্লগ/সাইট এর টপিক অনুযায়ী কিছু ভিডিও টিওটোরিয়াল তৈরী করুন তারপর সেগুলা জনপ্রিয় কিছু ভিডিও শেয়ারিং সাইট যেমন ইউটিউব, ডেইলিমোশন, ভিমো ইত্যাদি তে সাবমিট করে সেখান থেকে ব্যাকলিঙ্ক পেতে পারেন।
৪ঃ ফোরাম পোষ্টিংঃ
ফোরাম পোষ্টিং ও ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করার অনেক পুরাতন এবং জনপ্রিয় একটি উপায় যার মাধ্যমে সহজেই ব্যাকলিঙ্ক করা যায়। অনেকের মতে ফোরাম এর ব্যাকলিঙ্ক এখন আর এস.ই.ও. তে কোন প্রভাব ফেলে না। কিন্তু আপনি যদি যথাযথ ভাবে ফোরাম পোষ্ট করতে পারেন তাহলে এখনো ফোরাম এর ব্যাকলিঙ্ক হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক এর কাজ করে। ফোরাম পোস্টিং এর  জন্যে  আপনাকে  অনেক অনেক খাটা খাটুনি করতে  হবে। আর  সকল ফোরামে  সমসময় পোস্ট  নেয় না।
৫ঃ ডকুমেন্টস শেয়ারিংঃ
আপনার ব্লগ/সাইট এর নিশ রিলেটেড কিছু ইবুক, পি.ডি.এফ. ফাইল এবং প্রেসেন্টেশন তৈরী করে সেইগুলা বিভিন্ন হাই পেজ র‍্যাঙ্ক, এলেক্সা র‍্যাঙ্ক ও ডোমেইন অথরিটির ডকুমেন্টস শেয়ারিং সাইট এ পাবলিশ করতে পারেন। ডকুমেন্টস গুলো তৈরী করার সময় সেগুলার মধ্যে আপনার সাইট এর ব্যাকলিঙ্ক দিয়ে দেন, তাহলেই সহজেই হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে যাবেন।
৬ঃ আর.এস.এস. ফিড সাবমিশনঃ
ডিরেক্টরি সাইট এর মত অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ব্লগ এর আর.এস.এস. ফিড এর লিঙ্ক সাবমিট করতে পারবেন। এতে করে যখনই আপনার ব্লগে নতুন কোন পোষ্ট দিবেন তখন সয়ংক্রিয়ভাবে পোষ্ট এর লিঙ্কগুলো ঐ আর.এস.এস. ডিরেক্টরিতে চলে যাবে আর আপনি পেয়ে যাবেন কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক।
৭ঃ প্রেস রিলিস সাবমিশনঃ
এইটা অনেক পুরাতন একটি টেকনিক কিন্তু এখনো হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করার জন্য অনেক কাজে দেয়। কিছু হাই পেজ র‍্যাঙ্ক এবং ডোমেইন অথরিটি এর প্রেস রিলিস সাইট খুঁজে বের করুন তারপর সেইগুলাতে আপনার ব্লগ/সাইট সম্পর্কে ইউনিক প্রেস রিলিস সাবমিট করুন যাতে সহজেই পাবলিশ হয়ে যায়।
৮ঃ গেষ্ট পোষ্টিংঃ
গেষ্ট পোষ্টিং বেশিরভাগ ক্ষেতে এটি আর্টিকেল সাবমিশন থেকেও বেশি কঠিন। আপনি যদি ভালো কন্টেন্ট রাইটার না হন আর অন্যান্য ব্লগারদের সাথে আপনার ভালো যোগাযোগ না থাকে তাহলে সহজে আপনি ভালো কোন ব্লগে গেষ্ট পোষ্টিং করে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরী করতে পারবেন না। এছাড়া আপনি গুগলে সার্চ করে আপনার সাইট এর নিশ রিলেটেড ব্লগ/সাইট খুঁজে বের করতে পারেন যা সহজেই গেষ্ট পোষ্ট অ্যাপ্রোভ করে।
৯ঃ আর্টিকেল সাবমিশনঃ
আর্টিকেল সাবমিশন আরেকটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম যার সাহায্যে অনেক হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করা সম্ভব। এইটা অনেকটা গেষ্ট পোষ্টিং এর মতো এবং আপনি যদি ব্লগিং বা এস.ই.ও. তে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এটি হয়তবা আপনার জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে। কারন আর্টিকেল সাবমিশন এর জন্য ভালো আর্টিকেল লিখতে হয়। এছাড়া এতে কিছুটা ধৈর্য্য আর সময় দরকার হয়।
১০ঃ ব্লগে কমেন্টস করাঃ
এখন পর্যন্ত ব্লগ কমেন্টিং হচ্ছে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক এর সবচেয়ে বড় একটি উৎস। আপনি খুব সহজেই আপনার ব্লগ/সাইট এর নিশ অনুযায়ী ব্লগ খুঁজে বের করে সেখানে কমেন্টস করার মাধ্যমে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক করতে পারবেন। আপনি যদি অন্যদের ব্লগে ভালো কমেন্ট করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে অনেক রেফারেল ভিজিটরও পাবেন।
Reference here
ভালো থাকবেন 🙂

অন পেইজ এস ই ও কি ? (On Page SEO)

আসসালামু আলাইকুম! কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদেরকে অন পেইজ এস ই ও কি ? (On Page SEO) এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
প্রথমেই বলি যে আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, এস ই ও কি ? এস.ই.ও কত প্রকার ও কি কি ? এস ই ও কিভাবে কাজ করে ? অন পেজ এস ই ও কি ? ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করেন।
তারা আমার এই অন পেইজ এস ই ও কি ? (On Page SEO) টিউটরিয়ালটি পড়েন। অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।

 অন পেইজ এস ই ও কি  ? (On Page SEO)

demand of on-page-seo
Rhb Riyad

অন পেইজ এস ই ও হল আপনার ওয়েভসাইটের ভিতরের কাজ। অর্থ্যাৎ আপনার ওয়েভসাইটের ভিতরে যা যা করবেন তাই অন পেইজ এস ই ও এর অন্তর্ভক্ত।
অন পেইজ এস ই ও অনেক অনেক ভাবে করা হয়ে থাকে। আমি  আজ এখানে মুল মুল বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করছি।

অন পেইজ এস ই ও তে কি কি (On Page SEO) কাজ আছে  ?

অন পেইজ এস ই ও তে আপনাকে বেশ কিছু কাজ  করতে হবে।
এই বিষয় জনালেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, অন পেইজ এস ই ও কি ? কিভাবে অন পেইজ এস ই ও করবেন।
  1. Site –Structure কি ?

 Site –Structure হল আপনি যে সাইটের এস ই ও করবেন তার একটা ওভারভিও। আপনার সাইটের মোট কতটি ব্যাকলিংক আছে। কি কি কী-ওয়ার্ড এর জন্য আপনার সাইটটি রেংক করতেছে।
সাইটের ডি এ ও পি এ কত? এই বিষয় গুলো আপনাকে জানতে হবে।

  1. Permalink Structure কি ?

যখনই কোন একটা সাইটের পোস্টে আমরা ভিজিট করি, তখন আমাদের ব্রাউজারের Address বারে মূল সাইটের Address এর সাথে পোস্ট এর টাইটেলের কিছু অংশ দেখা যায়, এটাই Permalink

3. Title Optimization কি ?

আপনার সাইটে যে পোস্ট গুলো করেন তার যে একটা টাইটেল থাকে, এই টাইটেলটিকে এস ই ও  এর জন্য ভাল ভাবে Optimization করাই হল  Title Optimization

  1. Use of visual media post কি ?

visual media হল ভাল ভাল ইমেজ, ভিডিও, অডিও ইত্যাদির ব্যবহার। এই visual media গুলো আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন, আপনার সাইট তত ভাল ভাবে রেংক করবে।
আমার সাইটে আপনারা খেয়াল করছেন যে আমি আমরা ওয়েভসাইটের প্রতিটা পোস্টেই ইমেজ, ভিডিও ইত্যাদির ব্যবহার করেছি।

5.Regular Content কি ?

Regular Content কী-ওয়ার্ড রিসার্জ করে ভাল ভাল আর্টিকেল নিয়মিত পাবলিশ করা আপনি ওয়েভসাইট করে আজ ১০  টি আর্টিকেল দিলেন এর পর ৩ মাস আর কোন খবর নাই আবার ৩ মাস পরে এসে আরও ১০ আর্টিকেল দিলেন তাহলে আপনার সাইটের এস  ই ও হবে না।
কেননা সার্চ ইঞ্জিন গুলো এটা পছন্দ করে না। যে ওয়েভসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় সার্চ ইঞ্জিন সেই ওয়েভ সাইট গুলোকেই রেঙ্ক করে থাকে। তাই রেঙ্ক পেতে চাইলে নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে।
  1. External linking কি ?

External linking  হল আপনার সাইটের ভিতরে আপনার নিশ রিলেটেড সাইটের লিংক দেয়া। এ সম্পর্কে আপাতত এত টুকুই জানেন। External linking পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।

  1. Keyword Dropping কি ?

Keyword Dropping  হল  আপনি যে  কী-ওয়ার্ড  এর জন্য সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করতে চান সেই কী-ওয়ার্ড গুলোকে ঠিক ভাবে আপনারা আর্টিকেলে দিয়াই হল Keyword Dropping । আশা করি বুঝতে পারছেন।

  1. LSI কি ?

এবারের বিষয় হল LSI     আগেই জেনে নেন যে
LSI কি ?
LSI হল Latent Semantic Indexing
সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনি গুগুলে যখন কোন কিছু লিখে সার্চ দেন তখন দেখবেন যে গুগুল নিচের দিকে কিছু সাজেশন দেয়। এই সাজেশনের ওয়ার্ড গুলোকেই Latent Semantic Indexing বলে।
এই কী-ওয়ার্ড গুলোকে ব্যবহার করাকেই LSI এর ব্যবহার বলে। পরে আরও বিস্তরিত বলব।

  1. ALT Tag কি ?

এবারের বিষয় হল ALT Tag
ALT Tag হল Alternative Tag. আপনি আপনার ওয়েভসাইটে যে ছবি গুলো দেন সেখানে ALT Tag নামে যে অপশন আছে, তাকেই ALT Tag বলে। অন পেইজ এস ই ও এর জন্য ALT Tag এর ব্যবহার আজকের দিনে অনেক জরুরী।

    10.  Loading Speed কি ?

Loading Speed  হল আপনার ওয়েভসাইটে যখন কোন ভিজিটর আসবে, তখন আপনার সাইটা কত তাড়াতাড়ি লোড হবে। যদি আপনার সাইটটি তাড়াতাড়ি লোড না হয়।
তাহলে আপনি কোন ভিজিটর আশা করতে পারেন না।
কেননা আপনার সাইটের লোডিং স্পিড ভাল্ না থাকলে, আপনার সাইট লোড না হওয়ার করণে আপনার সাইটের ভিজিটর হারাবেন। আশা করি ভাল ভাবে বুঝতে পারছেন।

  1. Enable Social Share কি ?

Enable Social Share  হল আপনার সাইট থেকে Social Media তে আর্টিকেল গুলো কে পোস্ট করার জন্য সোশ্যাল বাটন এড করা।
কেননা আপনার আর্টিকেলটি যদি ভাল লাগে তাহলে ভিজিটাররা নিয়মিত আপনার আর্টিকেল গুলোকে Social Share এর মাধ্যমে আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়বে।এটাই হল Enable Social Share

  1. Responsiveness কি ?

Responsiveness হল আপনার সাইটি মোবাইল, ট্যাব, ইত্যাদি সব ডিভাইসে ভাল লোড হওয়া। যদি ভাল ভাবে আপনার সাইটটি লোড না হয়, তাহলে আপনার সাইটিতে ভিজিটররা আসলেও তার অবস্থায় করবে না।
কেননা আপনার সাইটে তারা আসলেও পড়তে সমস্যায় পড়বে। তাই তারা চলে যাবে। তাই আপনার সাইট কে সব ডিভাইস Responsiveness করাই হল Responsiveness

  1. Internal linking কি ?

Internal linking  হল আপনার ওয়েভসাইটের একটা আর্টিকেল থেকে আরেকটা আর্টিকেল কে লিংক দেয়া। এই কাজটির অনেক গুরুত্ব আছে।
আপনি যদি উইকিপিডিয়া ওয়েভসাইটে ভিজিট করেন, তাহলে দেখবেন যে সেখানে অনেক অনেক Internal linking করা আছে।
এই কারণেই এই ওয়েভসাইটে এত এত ভিজিটর। তাই আপনার সাইটের ভিজিটর বেশি পেতে হলে বেশি বেশি Internal linking করুন।
  1. SSL কি ?

SSL হল  secure sockets layer
সহজ কথায় বলতে গেলে আপনার সাইটে কোন ধরণের হ্যাকিং রিলেটেড কোন কিছু আছে কিনা তা যাচাই করে একটা সার্টিফিকেড দেয়াই হল  secure sockets layer
অনলাইনে অনেক অনেক ওয়েভসাইট আছে যারা আপনাকে SSL সার্টিফিকেট দিবে। আজকের দিনে  SSL ছাড়া আপনার ওয়েভসাইট আর রেঙ্ক হবে না।
তাই আপনার সাইটের জন্য ভাল একটা SSL সার্টিফিকেট নিয়ে নিবেন।
অনলাইনে অনেক ফ্রি ও পেইড SSL সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।

  1. Power Word কি ?

Power Word হল এমন কিছু ইংরেজি শব্দ যে শব্দ গুলো আপনার সাইটের পোস্ট গুলোর টাইটেলে ব্যবহার করলে তা সার্চ ইঞ্জিন ফেন্ডলি হবে।
কেননা এই শব্দ গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে গুরুত্ব দিবে। আশা করি বুঝতে পেরেছন। পরে আমি আরও বিস্তারিত লিখছি।

  1. User Bookmarking কি ?

User Bookmarking হল আপনার ওয়েভসাইটে ভিজিটরদের জন্য কমেন্ট বা লাইক করার অপশন এড করা। কেননা ভিজিটররা যদি আপনার সাইটে কমেন্ট করে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন মনে করবে যে আপনার সাইটটি ভাল।
তাই ভিজিটররা আসছে এবং কমেন্ট করছে। আশা করি বুঝতে পারছেন।
  1. H1 থেকে H6 এর ব্যবহার

এবারের বিষয় হল H1 থেকে  H6 এর ব্যবহার।  অন পেইজ এস ই ও কি ? এই টিউটরিয়ালটিতে H1 থেকে H6 এর ব্যবহার জানা টা জরুরী।
আপনি যদি ভাল রেংকিং পেতে চান তবে আপনার আর্টিকেলে H1 থেকে  H6 এর ব্যবহার করতে হবে। আপনার লিখাতে H1 দিয়ে একটা টাইটেল দিবেন, যাতে আপনি আপনার কী-ওয়ার্ড টি দিয়ে দিবেন।
কেননা H1 টাইটেলে কী-ওয়ার্ডের ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই রেঙ্ক পেতে পারেন।
এভাবে ছোট ছোট করে আপনি H1 থেকে  H6 এর ব্যবহার করবেন।
  1. পেরাগ্রাফ আকারে লিখুন

আপনার লিখিত আর্টিকেলটি অনেক বড় বড় করে না লিখে ছোট ছোট পেরাগ্রাফ আকারে লিখুন। কেননা বেশি বড় বড় পেরাগ্রাফ আকারে লিখলে আপনার সাইটের রেঙ্ক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম ।
আর বেশি  বড় বড় করে যদি কোন আর্টিকেল লিখা হয় তাহলে আপনার সাইটের যে ভিজিটর আছে, তারা বিরক্ত বোধ করবে। তাই ছোট ছোট পেরাগ্রাফ আকারে লিখুন ।

  1. Meta Keyword কি ?

Meta Keyword হল আপনার সাইটের পরিচিতি। সার্চ ইঞ্জিন Meta Keyword পড়তে পারে। তাই আপনাকে বেশি থেকে বেশি পরিমাণ Meta Keyword এর ব্যবহার করতে হবে।
আজ আপনারা এই অন পেইজ এস ই ও কি টিউটরিয়ালে অন পেইজ এস ই ও সম্পর্কে ভাল ভাবে শিখতে পারলেন। আগামি পর্বে আপনারা অফ পেইজ এস ই ও সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আমি আশা করি যে এর পর থেকে আপনারা আর বলবেন না যে, অন পেইজ এস ই ও কি ?
আশা করি বুঝতে পেরেছেন। না বুঝে আসলে কমেন্ট করে জানবেন।
referance click here




SEO এক্সপার্ট হবার তিনটি পক্রিয়া এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)

seo
Rhb Riyad

SEO, এস.ই.ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ২০১২ তে বাংলাদেশ এই SEO এর উপর কাজ করে ফ্রিলেন্সার.কম এ বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছে এবং অনলাইন মার্কেট প্লেসে যতগুলা কাজ রয়েছে তার মধ্যে এই SEO, এস.ই.ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের ফ্রিলেন্সাররা সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে এত কিছু ঘটার পর বাংলাদেশের এখন দিন দিন এস.ই.ও. (SEO) ফ্রিলেন্সার-এর সংখ্যা বাড়ছে।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে আমাদের দেশের প্রফেশানাল , স্টুডেন্ট সহ সবার মাঝে বেশ আগ্রহ । সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে ফেইসবুকে এস.ই.ও. (SEO) কে ঘিরে অনেকগুলো গ্রুপ তৈরি হয়ে উঠেছে। সেখানে শুধুমাত্র এই এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে অনেক আলোচনা হয় । অনেকে শেখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার কথা বলে থাকেন। সবার সমস্যা এক হয় না । অনেকে বলে থাকেন তারা গাইডলাইন পাচ্ছেন না, অনেকে বলেন কোথা থেকে শুরু করবেন তা বুঝতে পাচ্ছেন না । অনেকে আবার ক্যারিয়ার হিসাবে এস.ই.ও. (SEO) কেমন হবে বুঝতে পাচ্ছেন না ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে ধারাবাহিক পরিবর্তনের মধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের উন্নতি সাধন করা। এই পরিবর্তনগুলো হয়তো আলাদা ভাবে চোখে পড়বে না কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর মাধ্যমে একটি সাইটের ব্রাউজিং এর স্বাচ্ছন্দবোধ অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং অর্গানিক বা স্বাভাবিক সার্চ রেজাল্টে সাইটকে শীর্ষ অবস্থানের দিকে নিয়ে যায়। সাবাই চায় তার ব্লগ বা ওয়েব সাইট গুগল কিংবা বিং-য়ের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (SERP)-এর সবচেয়ে উপরের দিকে রাখতে। আর এই জন্যই ইফেক্টিভ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় যেন সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট বা এর কনটেন্টকে গুলোকে দ্রুত খুঁজে পায় এবং সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (SERP) এর প্রথমদিকে প্রদর্শন করতে পারে।

ফ্রিলেন্সার.কম, অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা আনতর্জাতিক ভাবে এস.ই.ও. (SEO) ব্যবহারের কথা অনেক হয়েছে এবার আসুন দেখেনিই ছোট একটা উধাহরনের মাধ্যমে বাংলাদেশে এস.ই.ও. (SEO) এর অবস্থান বা প্রয়োজন। আমাদের দেশে এস.ই.ও. (SEO) নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব বেশি কাজের ক্ষেত্র নেই। কিন্তু বর্তমানে পত্রিকা, অনলাইন নিউজ মাধ্যম এবং অন্যান্নরা যেভাবে অ্যালেক্সা রেংক নিয়ে মারামারি করছে তাতে স্পস্ট করে বলা যেতে পারে খুব দ্রুতই বাংলাদেশে বড় আঁকারে এস.ই.ও. (SEO) অ্যাডইজার / স্পেশালিষ্ট এর প্রয়োজন দেখা দিবে। শুধুমাত্র ডোমেইনের শেসে "...নিউজ২৪ " এরকম সংবাদ মাধ্যমের সংখ্যা চব্বিশটারও বেশি। ধরেন না গতকাল আপনি হটাৎ একটি "...নিউজ২৪"-এ ফটাৎ করে ঢুকে পরছেন কিন্তু আজ বসে সেই "...নিউজ২৪" আর পাচ্ছেন না, গুগোল মামা বারবার চলে যাচ্ছে অন্য "...নিউজ২৪"এ? এর মুল কারনই হচ্ছে ফটাৎ করে ঢুকে পরা গতকালকের "...নিউজ২৪" এর চেয়ে আজকের বারবার চলে আসা "...নিউজ২৪" টি এস.ই.ও. (SEO)-এর দিকে বেশি গুরত্ত দিয়েছেন। অর্থাৎ বাকিরাও খুব দ্রুতই এস.ই.ও. (SEO)-এর উপর গুরত্ত দিবে এবং একজন এস.ই.ও. (SEO) অ্যাডইজার / স্পেশালিষ্ট কে খুঁজবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে বড় আঁকারে এস.ই.ও. (SEO) অ্যাডইজার / স্পেশালিষ্ট প্রয়োজন দেখা দিবে অচিরেই।
আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন আদর্শ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অ্যাডইজার বা এস.ই.ও. এক্সপার্ট। এস.ই.ও. এক্সপার্ট হতে আপনার কোন প্রকার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।
○ কি কি শিখা দরকার এস.ই.ও. (SEO) এক্সপার্ট হয়ার জন্য? বা এস.ই.ও. (SEO) এর মুল বিষয় গুলো কি কি এক নজরে দেখে নিই।
• এসইও কি, এসইও কতপ্রকার, এসইও টাইটেল ট্যাগ, এসইও মেটাট্যাগ, এসইও এংকরট্যাগ
• সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের ইউ আর এল (URL) রেজিট্রেশন করা।
• গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস বানানো এবং এর ব্যবহার পদ্দতি।
• ভিবন্ন ওয়েব অ্যানালাইজার সেট-আপ এবং মেইনটেন করা।
• অ্যালেক্সা টুলবার, লিংক, র‍্যাংক সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা।
• একটি ওয়েব-সাইটের A to Z এস.ই.ও. (SEO)সমাধান।
• ইমেজ/ছবি, ভিডিও বা অডিও সার্চের জন্য আলাদা এস.ই.ও. (SEO) টিপস।
আমি এখানে তিনটি প্রক্রিয়া আলোচনা করছি যেগুলার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন মুল বিষয় (উপরের বিষয়গুল) এবং ঘড়ে বসে হয়ে যেতে পারবেন একজন আদর্শ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অ্যাডইজার বা এস.ই.ও. এক্সপার্ট।

প্রক্রিয়া ১: এই ব্লগে এই বিসয়ে রয়েছে একাধিক পোষ্ট। এই পোস্টগুলাও আপনাকে সাহায্য করবে আশা করি। সব গুলা পরলে অর্ধেক / সম্পুর্ন এস.ই.ও. এক্সপার্ট হয়ে যাবেন আশা করি। আর হয়ে গেলে এক কেজি মিস্টি পাঠাই দিবেন আমার বাসায়। নিম্নে এই ব্লগের ২টা পোষ্টের লিংক দিলাম।  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরুন।

প্রক্রিয়া ২ : আপনার পরিচিত যদি কোন বড় ভাই এস.ই.ও. এক্সপার্ট থাকেন তার কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। এস.ই.ও. শিখতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না ফলে কয়েকদিন হাতে পায়ে ধরে শিখে নিতে পারেন। তবে অনেক জায়গাতেই এখন ফ্রী এস.ই.ও. কোর্স করায় খুজে দেখলেই পাবেন, আমার জানা মতে ধানমন্ডির একটি প্রতিষ্ঠান এখনও ফ্রি এস.ই.ও. করাচ্ছে। যারা বা ধানমন্ডি এর আসে পাসে থাকেন তারা যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও যারা মিরপুর ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে রয়েছেন তারা মিরপুর ১০ এ চৌরাস্তার (নাম মনে নেই) মার্কেটে খোঁজ নিতে পারেন, আমার জানা মতে ঐখানে ২-১টা ফার্ম ফ্রি কর্মশালা করায় (যদিও দু-মাস আগের কথা, নাম মনে নেই তাই sorry)।

প্রক্রিয়া ৩ (ইংলিশ): কয়েকটি বই (ই-বুক) এর লিংক দিচ্ছি যা আপনি খুব সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে ইংলিশে একটু এক্সপার্ট হতে হবে।


এছাড়াও সামনের মাস-এ বড় তিন-চারটি আইটি (কম.জগত + অরেঞ্জ বিডি + দা টমেটো + ...... ) ফার্ম মিলে একটা কর্মশালা করার কথা রয়েছে। এই ব্যাপারে আশা করি আমি সবাই কে, আগেভাগে বিষয়টা অবগত করতে পারব। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন। ভাল থাকতে না চাইলে থাকবেন না কারন, এটা আপনার একান্ত স্বাধীনতা।

Referance here

Wednesday 27 February 2019

SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)

• SEO কিঃ

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে ধারাবাহিক পরিবর্তনের মধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের উন্নতি সাধন করা। এই পরিবর্তনগুলো হয়তো আলাদা ভাবে SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)চোখে পড়বে না কিন্তু সামগ্রিকভাবে এর মাধ্যমে একটি সাইটের ব্রাউজিং এর স্বাচ্ছন্দবোধ অনেকাংশে বেড়ে যায় এবং অর্গানিক বা স্বাভাবিক সার্চ রেজাল্টে সাইটকে শীর্ষ অবস্থানের দিকে নিয়ে যায়। সাবাই চায় তার ব্লগ বা ওয়েব সাইট গুগল কিংবা বিং-য়ের সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (SERP)-এর সবচেয়ে উপরের দিকে রাখতে। আর এই জন্যই ইফেক্টিভ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় যেন সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট বা এর কনটেন্টকে গুলোকে দ্রুত খুঁজে পায় এবং সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (SERP) এর প্রথমদিকে প্রদর্শন করতে পারে।
keyword
Rhb Riyad

• কেন শিখবেন SEO:

SEO, এস.ই.ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ২০১২ তে বাংলাদেশ এই SEO এর উপর কাজ করে ফ্রিলেন্সার.কম এ বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছে এবং অনলাইন মার্কেট প্লেসে যতগুলা কাজ রয়েছে তার মধ্যে এই SEO এর মাধ্যমেই বাংলাদেশের ফ্রিলেন্সাররা সবচেয়ে বেশি আয় করেছে। আরও মজার হচ্ছে অনলাইন জুরে শুধুমাত্র SEO এর কাজই ৬৫% থেকে ৭০%। তাই অনলাইন মার্কেট নিয়ে এসইও-এর ব্যাপারে আশা করি এর বেশী কিছুই বলার প্রয়োজন নেই।

• SEO শিখতে কি প্রয়োজনঃ

আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন আদর্শ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অ্যাডইজার বা SEO এক্সপার্ট। এস.ই.ও. এক্সপার্ট হতে আপনার কোন প্রকার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। শুধুই প্রয়োজন গাইড লাইন আর ধারাবাহিক প্রচেস্টা।

• বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎঃ

অনলাইন মার্কেটপ্লেস আর আনতর্জাতিক মার্কেটে SEO এক্সপার্ট-এর চাহিদার কথা অনেক হয়েছে এবার আসুন, ছোট একটা উধাহরনের মাধ্যমেই দেখেনিই বাংলাদেশে SEO এক্সপার্ট-এর চাহিদা। অনেকই হয়ত বা ভাবে আমাদের দেশে SEO নিয়ে এখন পর্যন্ত খুব বেশি কাজের ক্ষেত্র নেই। কিন্তু একটু ক্ষেয়াল করে দেখেন বিক্রয়.কম যারা শুধুমাত্র তেদের সাইটের প্রচারের জন্য প্রতিদিন লক্ষ টাকা ব্যায় করছে। কারন আমরা জানি এই প্রচারই হচ্ছে প্রসার, আর প্রচার কেই আমরা বলতে পারি সহজ ভাবে বলতে পারি SEO! অর্থাৎ এই SEO এর জন্য বর্তামানে বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা লক্ষ টাকা ব্যায় করতে প্রস্তুত। ফলে একটু ক্ষেয়াল করলেই বুঝা যাচ্ছে SEO এক্সপার্ট-এর চাহিদা আমাদের দেশেও দিন দিন বাড়ছে।
আরেকটি উদাহরন দেই, বাংলাদেশে ঠিক কতগুলা অনলাইন নিউজ মাধ্যমের নামের মধ্যে “…news24” আছে আপনি কি জানেন? কমকরে হলেও ২৭-৩০ টার অধিক! এতো গেলো “…news24” এর গল্প এবার আসেন “….bd” আছে এমন সাইটের অনলাইন নিউজ মাধ্যমের সংখ্যা তহলে কত হবে? কেন তুলে আনছি এই “…news24” এর গল্প? ধরেন না গতকাল আপনি হটাৎ একটি “…নিউজ২৪”-এ ফটাৎ করে ঢুকে পরছেন কিন্তু আজ বসে সেই “…নিউজ২৪” আর পাচ্ছেন না, গুগোল মামা বারবার চলে যাচ্ছে অন্য “…নিউজ২৪”এ? এর মুল কারনই হচ্ছে ফটাৎ করে ঢুকে পরা গতকালকের “…নিউজ২৪” এর চেয়ে আজকের বারবার চলে আসা “…নিউজ২৪” টি SEO-এর দিকে বেশি গুরত্ত দিয়েছেন। অর্থাৎ বাকিরাও খুব দ্রুতই SEO-এর উপর গুরত্ত দিবে এবং একজন এস.ই.ও. SEO এক্সপার্ট খুঁজবে। অর্থাৎ বাংলাদেশে বড় আঁকারে SEO অ্যাডইজার, স্পেশালিষ্ট, এক্সপার্ট যাই বলেন না কেন এর প্রয়োজন দেখা দিবে।

• SEO এক্সপার্ট হতে কি কি জানতে হবেঃ

SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক) SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)• এসইও কি, এসইও কতপ্রকার?
• কী ওয়ার্ড রিসার্চ কি, কিভাবে বের করবেন ফোকাস কী-ওয়ার্ড। 
• অন পেজ অপটিমাইজেশন এর সকল খুঁটিনাটি বিষয়।
• মেটা ট্যাগ এক্সপেরিমেন্ট, টাইটেল।
• কন্টেন্ট রাইটিং মেথর্ড, কী-ওয়ার্ড রিপ্লেসমেন্ট, সাইট ম্যাপ।
• সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী সাইট মেকিং, ওয়েবসাইট এসইও স্ট্রাকচার মেকিং ।
• অফ পেজ এর বিভিন্ন কলাকৌশল।
• সকল প্রয়োজনীয় টুলস (গুগল এনালাইটিক্স) এর ব্যবহার।
• বেস্ট ব্যাকলিংক ফাইন্ডিং টেকনিক, Web 2.0 তৈরি ।
• ফোরাম ফোরাম পোস্টিং, ব্লগ কমেন্টিং।
• আর.এস.এস সাবমিশন, প্রেস রিলিজ সাবমিশন, ডিরেক্টরি সাবমিশন।
• লিংক হুইল, গেস্ট ব্লগিং, , আর্টিকেল মার্কেটিং।
• বেস্ট ব্যাকলিংক ফাইন্ডিং টেকনিক, Web 2.0 তৈরি।
• পীড়ামিড লিংক (সদ্য আবিষ্কৃত SEO টেকনিক! )।SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক) SEO কি, কেন শিখবেন এবং বাংলাদেশে এর ভবিষ্যৎ! (+ফ্রী কিছু ই-বুক)
• ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগার ওয়েবসাইট এর সকল এসইও প্লাগিন এর ব্যবহার। 
• ভিবন্ন ওয়েব অ্যানালাইজার সেট-আপ এবং মেইনটেন করা।
• এসইও টাইটেল ট্যাগ, এসইও মেটাট্যাগ, এসইও এংকরট্যাগ।
• সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের URL রেজিট্রেশন করা।
• গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস বানানো এবং এর ব্যবহার পদ্দতি।
• ইমেজ/ছবি, ভিডিও বা অডিও সার্চের জন্য আলাদা SEO টিপস।
• অ্যালেক্সা টুলবার, লিংক, র‍্যাংক সহ ইত্যাদি বিষয়।

• SEO কোর্স এবং বার্তি কিছু কথাঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক আইটি ফার্মই ভিবিন্ন আইটি বিষয়ক, ফ্রিল্যান্সিং বা SEO এর উপর কর্মশালা করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আর.আর. ফাউন্ডেশন। বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠানই SEO কোর্সের জন্য ৭,০০০ টাকা থেকে ১৬,০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। তবে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই মাঝে মধ্যেই ভিবিন্ন ছাড় দেয়। একটু চোখ কান খুলা রাখলেই জানতে পারবেন। ধান্মন্ডির একটি আইটি ফার্ম দু-মাস ব্যাপী মাত্র ১,০০০ টাকার মাধ্যমে একটি SEO এবং ফ্রিল্যান্সিং এর উপর কোর্সের আয়োজন করতে যাচ্ছে । এছাড়াও ঈদের পর চিটাগাং-এর বদ্দার হাটে ঢাকার কয়েকটি আইটি ফার্ম যৌথ ভাবে আয়োজন করতে যাচ্ছে একটি SEO কোর্সের। আমি তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে মন্তব্য জানাব।

• পরিশেষে যা বলবঃ

যে যাই করেন, কোঁথায় ভর্তি হোন আর নাই বা হোন ওডেস্ক, ফ্রীল্যান্সার এবং ঈ-ল্যান্সে অন্তত একটা অ্যাকাঊন্ট ওপেন করেন এবং বসে না থেকে একটু চাপাচাপি করে দেখেন। সাথে ফাইবারেও অ্যাকাঊন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন। 

এসইও (SEO) কেন শিখবেন? বর্তমান/ভবিষ্যৎতে SEO এর চাহিদা

learn seo

Search Engine Optimization যার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে SEO। এটি অনলাইনে সেলস এন্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের একটি গুরূত্বপূর্ন পার্ট। অনলাইনে বিভিন্ন সেবার মধ্যে এসইও একটি ইন্ড্রাস্টির মতন। খুব ছোট করে এসইও হচ্ছে – গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে রেংকিং অনুযায়ী সাজানো। যে ওয়েবসাইটকে যত ভালভাবে SEO করা হবে, সেই ওয়েবসাইট গুলো গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং এ তত প্রথম সারিতে থাকবে।
এটি শিখতে তুলনামূলক সহজ, তাই নতুনদের অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে এসইও দিয়ে শুরু করলেই ভাল হয়।
আজকের আর্টিকেলে এসইও কেন শিখা উচিৎ এবং এসইওর বর্তমান বা ভবিষ্যৎ এর বাজার কেমন থাকবে এ নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব।

SEO কেন শিখব?

SEO – Search Engine Optimization ইন্ড্রাস্টি কোন ছোট একটি অধ্যায় না। এটি অনেক বড় একটি ইন্ড্রাস্টি। বর্তমানে স্কুল, কলেজ,ভার্সিটি,কম্পানি ইত্যাতি বিভিন্ন প্রতিষ্টানের জন্য ওয়েবসাইট থাকা অনেকটা বাধ্যতামূলক। আর আমরা জানি ওয়েবসাইট কেন তৈরি করা হয়। মানুষের কাছে আপনার প্রতিষ্টানকে প্রচার করার একটি ভাল মাধ্যম হলো বর্তমানে ওয়েবসাইট। কারন মানুষ এখন অফলাইন থেকে অনলাইনে বেশি সময় অতিবাহিত করছে। আর তাই এখন যে কোন ভাল প্রতিষ্টান তাদের প্রচারের জন্য ওয়েবসাইটকে পজিটিব একটি মাধ্যম হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।
আর এই ওয়েবসাইটকে গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে খুব ভালভাবে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার জন্য যে ইন্ড্রাস্টির নলেজ জানা জুরুরী, তা হলো – এসইও ইন্ড্রাস্টি। তাই এসইও শিখে রাখলে আপনার কাজের কোন অভাব হবেনা। আপনি অনলাইন, অফলাইন যে কোন মাধ্যমেই এসইওর কাজ পাবেন যদি আপনি এসইওর ব্যাসিক নলেক গুলো খুব ভালভাবে শিখে নিতে পারেন।


SEO – শিখলে অর্থ উপার্জনের মাধ্যম গুলো কি কি?

আমাদের মধ্যে অনেকেই এসইও শিখে বসে থাকেন বা কাজ কিভাবে শুরু করবে বুঝতে পারেনা। আমার সাজেশন হলো – বসে না থেকে প্র্যাকটিস করাটা অনেক ভালো একটি পজিটিব দিক। আপনি এসইও শিখার পরেই খুব ভাল একটা কম্পানিতে জব বা কোন ভালো মার্কেটপ্লেসে কাজ নাও পেতে পারেন। তাই যা যা শিখেছেন এগুলোর প্র্যাকটিস ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যান। ফ্রি ব্লগ সাইট খুলে প্র্যাকটিস এর কাজ গুলো করে যেতে পারেন।
যখন আপনি কনফিডেন্সলি যে কোন কিওয়ার্ড নিয়ে গুগলে রেংকিং এ চলে আসতে পারবেন, তখন ইনকামের চিন্তা করতে পারেন।

SEO এর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ

SEO ইন্ড্রাস্টি যখন থেকে শুরু হয়েছে, তখন থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই এন্ড্রাস্টির বেলু অনেক ভালভাবে পরিক্ষিত হয়ে আসছে। যেভাবে এই ইন্ড্রাস্টি চলে আসতেছে, এর ভবিষ্যৎও অনেক ভাল। কারন আমরা জানি যতদিন অনলাইন ব্যাপারটা থাকবে ততদিন এই ইন্ড্রাস্টির বেলু থাকবে।
এখন কাজ ভালভাবে শিখার পর কোথায় কাজ করবেন? কিভাবে করবেন এই বিষয় গুলো ক্লিয়ার করার জন্য কিছু টপিক নিয়ে বিস্তারিত বলছি –

SEO – শিখার পরে আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম গুলো

  • গুগল এডসেন্স/Google Ad-sense
  • বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস
  • লোকাল মার্কেট
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

গুগল এডসেন্স/Google Ad-sense

গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করবেন, এই বিষয়টা বুঝনোর জন্য আমার কয়েকটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলতে হবে।
প্রথমত – আপনাকে ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় এই নলেজটা শিখে নিতে হবে। এখানে ভয়ের কিছুই নেই। এখন সেই HTML,PHP,JAVA SCRIPT ইত্যাদি না জানা থাকলেও আপনি একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন, যদি আপনি টুকটাক ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ শিখে নিতে পারেন। ইউটিউবে হাজারের উপরে ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে প্রফেশনাল একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেসের কাজ শিখে নিতে আপনার ১ সাপ্তাহর বেশি সময় লাগবেনা, যদি আপনার সামান্য পরিমান ইচ্ছা শক্তি থাকে।
এখান দ্বিত্বীয় টপিকে আসি – আমি মনে করে নিচ্ছি যে, আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে আপনাকে ঠিক করে নিতে হবে, আপনি কি টপিকে ওয়েবসাইটটি করতে চাচ্ছেন। সেই টপিক অনুযায়ী কি-ওয়ার্ড রিচার্স করে সাইট ডিজান করবেন। সাইট ডিজাইন করে কিভাবে একটি ওয়েবসাইট থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় এবং গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরো কি কি উপায়ে আর্ন করা যায় এই টপিকে আমার আর্টিকেলটি  তারপর বাকিটুকু পড়বেন।

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস

আমরা জানি ফাইভার, আপওয়ার্ক, ইল্যান্স সহ প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে অনলাইনে। এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে হাজার টাইপের কাজ রয়েছে। এর মধ্যে SEO এর কাজ অন্যতম। এসইও স্পেশালিস্টদের এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর কাজ থাকে। আপনি যদি খুব ভালমানের একজন এসইও স্পেশালিস্ট হতে পারেন, তাহলে আপনার কাজ পাওয়া কোন অস্বাভাবিক কিছুনা। সত্যি বলতে আপনি যদি ভালো কাজ জানেন, ক্লাইন্ট নিজেই আপনাকে খুঁজে নিবে।
SEO এমন একটি এন্ড্রাস্টি, যেটার বর্তমান বভিষ্যৎ দুইটাই ভাল। এখানে যাদের এসইও নলেজ ভাল থাকবে তাদের কর্মের জন্য বসে থাকতে হবেনা।
এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে কি পরিমানের কাজ আছে Search Engine Optimization এর, আপনি একটু ঘুরে দেখে আসতে পারেন।

লোকাল মার্কেট

লোকাল মার্কেট বলতে অফলাইন বিত্তিক অনেক কাজ আছে SEO এর। বিভিন্ন কম্পানির ওয়েবসাইট গুগলে রেংক করানোর জন্য এসইও স্পেশালিস্ট প্রয়োজন হয়, এই ক্ষেত্রে আপনি যদি একজন ভাল মানের এসইও স্পেশালিস্ট হয়ে থাকেন তাহলে এই টাইপের কম্পানিতে জব পাওয়া খুব বেশি কঠিন কিছুইনা।

আপনি জানেন কিনা জানিনা, একজন এসইও স্পেশালিস্ট এর মাসিক বেতন ১ হাজার ডলার থেকে ২০/৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনার যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে খুব ভাল বা মোটামুটি নলেজও থাকে, আপনি প্রথমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন। তারপর ওয়েবসাইটিকে এসইও করে কিভাবে গুগল রেংকিং এ আনতে হয় সেটা তো আপনার জানা। যখন গুগল রেংকিং এ চলে আসবে তখন প্রচুর ট্র্যাফিক/বিজিটর আপনার সাইটে আসা শুরু করলে, আপনি আপনার সাইট রিলেটেড বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেপ্লেস গুলো থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে, সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ করার মাধ্যমেও আর্ন করতে পারবেন।

মোটকথা আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আগে মোটামুটি একটি নলেজ থাকতে হবে, তারপর আপনি এই ট্রেকে আপনার এসইও এপ্লাই করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

FAQ

বুঝতেই পারছেন, এসইও জানা থাকলে কাজের কোন অভাব হবেনা। শুধু এসইও ইন্ড্রাস্টি না, যে কোন ইন্ড্রাস্টির কাজ যদি আপনার ভালভাবে জানা থাকে তাহলে আপনার কাজের অভাব হবেনা।
আর্টিকেলটি ভাল লাগলে আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করবেন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে করে ফেলুন। ধন্যবাদ!